Recent Posts

ইন্টারনেটভিত্তিক দারুণ কয়েকটি ব্যবসায়ীক আইডিয়া জেনে নিন


অনেকেই ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা করতে চান। কিন্তু ভাল কোনো আইডিয়া অনুসন্ধান করে পান না। তাদের জন্য টেকওলির এই পুস্টটি উৎসর্গ করা হল। ইন্টারনেট থেকে যেসব ব্যবসার মাধ্যমে ভাল আয় করতে পারবেন ও যেসব ব্যবসায় কম মূলধন প্রয়োজন নিম্নে সেগুলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

অনলাইন হোস্টেল ও বাস টিকেট বুকিং

বাংলাদেশে বিশেষ করে কক্সবাজার, চেন্টমার্টিন ইত্যাদি স্থানে বিদেশ থেকে ভ্রমণকারীরা আসেন। এসব ভ্রমণকারিদের হোস্টেল ও বাস টিকেট বুকিং এর প্রয়োজন হয়। তারা বেশিভাগই অনলাইনের এসবের অর্ডার করেন। আপনি তাদের এই বাস ট্রিকেট ও হোটেল টিকেট বুকিং করে দিতে পারেন। এজন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট লাগবে। যেটার মাধ্যমে ক্রেতাসাধারণ আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনার ওয়েবসাইটে কিছু তথ্য রাখতে হবে যেমন- বিভিন্ন টুরিস্ট প্লেসের তালিকাসহ এসব জায়গার বিভিন্ন হোটেলের তালিকা, এর পরিসেবার বিবরণ, টিকেটের দাম ডলারে থাকতে হবে। বিদেশিরা আপনাকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্যাশ টাকা দিবে না। তারা কার্ডের মাধ্যমে ডলার হিসাবে পে করবে। এজন্য আপনার কার্ড থাকতে হবে।

অললাইন বুটিক

বিশেষ করে মেয়েরা অনলাইনের মাধ্যমে বুটিক শুরু করতে পারেন। ছেলেরাও পারবেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পোশাক ও ফ্যাশন সামগ্রী বিক্রি করাকেই মূলত অনলাইন বুটিক বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনার ক্রেতাসাধারণ ফেসবুক পেইজ / ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পন্যের অর্ডার করবে। এজন্য আপনাকে পন্যের ছবি, বিবরণ ও মূল্য উল্লেখ্য করে ফেসবুক পেইজ বা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। বর্তমানে এই ব্যবসার মাধ্যমে অনেকে নিজদের অর্থনৈতিক কল্যাণ সাধন করে নিয়েছেন। এই ব্যবসায় মূলধন ১-৫ লক্ষ্য টাকাই যথেষ্ট।

ডেটিং ওয়েবসাইট

যারা রিলেশনশিপ বিষয়ে ভাল বুঝেন ও রিলেশনশিপ পরামর্শক হন, তারা ডেটিং ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন। আপনার ডেটিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের পার্টনার খোঁজতে পারে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমের। বাহির দেশের এই ব্যবসায়িক আইডিয়া প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশেরও আপনি চাইলে এটা শুরু করতে পারে। এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট মেনেজ ও প্রচার-প্রসার নিয়ে খুব বেশি নাহলেও মোটামুটি জ্ঞান থাকতে হবে। মূলধন প্রাথমিক ৫০ হাজার টাকা ওয়েবসাইট (ডোমাইন, হোস্টিং, ডিজাইন সহ) + ওয়েবসাইটের অ্যাপ তৈরির খরচ পড়বে। প্রাথমিক খরচের পর বিজ্ঞাপন ও ফেসবুক পুস্ট বুস্টিং করতে নিয়মিত কিছু খরচ করতে হবে। এছাড়া কিছু দিন পরপর সাইটের উন্নয়নকাজ করতে হবে। এখানে আপনার আয় আসবে ওয়েবসাইটের মেম্বারশিপ ফিস থেকে। আর ওয়েবসাটের ফ্রি মেম্বারশিপ চালুও করতে পারেন তাদেরকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।

ই-কমার্স দোকান

বাংলাদেশ অনেক ই-কমার্স দোকান আছে। আপনিও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন নতুন কোনো পন্য নিয়ে। ই-কমার্স দোকান বা স্টোর হল অনলাইনের মাধ্যমেই যেখানে ক্রেতাগণ পণ্য দেখে অর্ডার ও মূল্য পরিশোধ করতে পারেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমের। এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন আছে। এবং ওয়েবসাইটে ই-কমার্স সেটাপ দেয়া থাকতে হবে। এই কাজগুলা বাংলাদেশ থেকে ওয়েবডেলপারদের কাছ থেকে ই-কমার্স দোকানের ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। ই-কমার্স দোকানে আপনি মোবাইল, কেমেরা, মোবাইলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কম্পিউটারসহ এর বিভিন্ন অংশ, ঘড়ি, বই, গ্রিপ্ট সামগ্রী, মেয়েদের সাজের জিনিশ ইত্যাদি রাখতে পারেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সপার্ট

আপনার হাতে যদি প্রচুর সময় থাকে এবং আপনি যদি ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি চালাতে পারেন। তাহলে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফেসবুক পেইজ, ইমেইল একাউন্ট চালিয়ে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্র উক্ত ব্যাক্তি আপনাকে পে করবে। আপনি জানেন যে, খেলোয়াড়, টেলিভিশন তারকা, ছায়েছবির তারকা, বিভিন্ন ব্যস্ত ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ তাদের ফেসবুক পেইজ নিজেরা চালান না। তাদের বিশস্ত্য কাউকে দিয়ে চালান। এক্ষেত্রে তাদের পেইজ আপনিও চালানু দায়িত্ব নিতে পারেন। যদি এমন কোনো কাজ না পান। তাহলে কোনো সমস্যা নেই আপনি বিভিন্ন সেলিব্রেটির ফ্যান তৈরি করে নিজে চালাতে পারেন। পেইজ জনপ্রিয় হলে এর থেকে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও নিজেই নিজেই পেইজ চালান যদি জনপ্রিয় করতে পারেন এর থেকেও আয় করতে পারবেন। এর জন্য তেমন মূলধন খরচ নেই বললেই চলে।

Comments

  1. দারুন পোস্ট। অনলাইন থেকে আয় করার জন্য উৎসাহীদের কাজে আসবে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

Xiaomi Redmi Note 12 Review: A Budget-Friendly Mid-Range Phone with Solid Performance

All best grameenphone internet offers 2020 [New Stay Home MB Offer]

How to do Velocity Edit on CapCut